ads

শিরোনাম :

বর্তমান নির্বাহি কমিটির মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

 


বর্তমান নির্বাহি কমিটির মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত


সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত


প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আনন্দঘন পরিবেশে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ।

হাফেজ মোঃ কামরুল ইসলামের কোরআন তেলওয়াতের মধ্যদিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলটসহ বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।  একই সাথে আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।

পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন-প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগের বার্তার নির্বাহি সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সভাপতি ফারুক মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, কার্যনির্বাহি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, শহিদুল ইসলাম, আবু সাঈদ বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম, মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ প্রমূখ।  

বক্তারা বলেন, ২০২১ সালের মার্চের নির্বাচনে মমতাজ আহমেদ বাপী ও মোহাম্মদ আলী সুজনের কমিটি আওয়ামী ফ্যাসিবাদি কায়দায় প্রেসক্লাব পরিচালনা করেছেন। এক বছরের কমিটি আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ মদদে প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধভাবে টানা সাড়ে তিনবছর স্বৈরাচারী কায়দায় প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছিল। প্রেসক্লাবের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।

 এমনকি তৎকালীন কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমানের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ বিক্রি করে দেন মমতাজ আহমেদ বাপী। মুনজিতপুরস্থ লিচুতলা নামক স্থানে কমিটির সভাপতির পদ বিক্রি হওয়ায় এটাকে লিচুতলা ষড়যন্ত্র বলেও অনেকে আখ্যায়িত করেছেন। তিনিও প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে তা পকেটস্থ করেন। তাদের সাড়ে তিন বছরের পরিচালনায় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রেসক্লাবের সচিব থেকে শুরু করে ঝাড়–দারদের বেতন মাসের পর মাস বকেয়া রাখেন। 

লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করলেও প্রেসক্লাবের তহবিল হয়ে পড়ে শুন্য। এমতাবস্থায় জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানের পর প্রেসক্লাবের সচেতন ও প্রগতিশীল সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে কয়েক দফা বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ আলোচনার একপর্যায়ে গঠনতন্ত্রের আলোকে একান্ন ভাগ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে ২৪ আগষ্ট ২০২৪ এক বছর মেয়াদি একটি কার্য নির্বাহি কমিটি গঠিত হয়। যা বর্তমানে বিদ্যমান।

সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বলেন, আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদকে সভাপতি করে ১৩ সদস্যের গঠিত কমিটি প্রেসক্লাবের শুন্য তহবিল হাতে নিয়ে গুটি গুটি পায়ে দীর্ঘ এগারো মাস পাড়ি দিয়েছে। প্রেসক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ নিয়ে সিলেটে আনন্দ ভ্রমন, সকল সদস্যদের মাঝে ব্লেজার বিতরণ, পবিত্র ঈদে সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান, প্রেসক্লাবের বিধ্বস্ত ভবন নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। 

সচিব, পিয়ন ও ঝাড়ু–দারের কয়েক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করাসহ নানান ধরণের সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে এই কমিটি। 

প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়, ঠিক তখনই আওয়ামী আমলের সেই ফ্যাসিষ্ট সাংবাদিকরা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা কিছু বহিরাগত মাদকাসক্ত, সমাজ বিরোধী, সন্ত্রাসীদের সাংবাদিকতার তকমা লাগিয়ে প্রেসক্লাব ও সাতক্ষীরাকে অস্থিতিশীল করতে অজানা কোন জায়গা থেকে প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে একটি কমিটি ঘোষনা করেন। এবং ফ্যাসিষ্টদের সাথে ষড়যন্ত্র করে প্রেসক্লাব দখলের হুমকি দিতে থাকে। এই কুচক্র মহলটি আজও সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

সাধারণ সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন- আমরা শন্তিতে বিশ্বাসি। তাই, ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র পরিহার করে প্রেসক্লাবের বৃহৎ স্বার্থে ও সাংবাদিকদের পোশাগত মানউন্নয়নে বিপথগামী সদস্যদের ফিরে আসার আহবান জানানো হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভায়।  

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই  বিপথগামী সদস্যদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য কমিটির নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেন। এবং শান্তি স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে বর্তমান কার্যনির্বাহি কমিটির মেয়াদকাল গঠনতন্ত্র মোতাবেক আরো ৪৫ দিন বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেন। বিষয়টি সাধারণ সভার সকল সদস্যরা সম্মতি প্রদান করেছেন।  

সাধারণ সভায় প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়ন ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব পড়ে শোনান অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন।


No comments