থামছে না নগরঘাটা ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্য
নামজারি প্রতি নায়েব সুরাইয়াকে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘুষ বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব সুরাইয়া পারভীন। ঘুষ নেওয়া তার কাছে যেন বৈধতায় রূপ নিয়েছে। নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি করতে গেলেই নায়েব সুরাইয়া পারভীনকে দেওয়া লাগে পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া জমির খাজনা দিতে গেলে নামমাত্র টাকার রশিদ ধরিয়ে দিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে এসে অবৈধ লেনদেন ছাড়া কেউ সুফল পায়নি বলে দাবি স্থানীয় ভুক্তভোগীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরঘাটা এলাকার জনৈক বাসিন্দা জানান, সম্প্রতি তিনি ৯ কাঠা জমির খাজনা দাখিলা কাটতে নায়েব সুরাইয়ার কাছে যান। জমিটি বিলান শ্রেণিভুক্ত হলেও দুই বছরের খাজনা বাবদ তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন নায়েব সুরাইয়া। পরবর্তীতে কাউকে না জানানোর শর্তে ২ হাজার টাকা দিয়ে খাজনা দাখিলা কাটা হয়। কিন্ত সেই টাকার কোন রশিদ তাকে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
না প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর ভুক্তভোগী জানান, ‘সম্প্রতি তিনি পাঁচ শতক জমি কিনেছেন। জমিটি নিজের নামে নামজারি করবেন বলে গিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। সেখানে গিয়ে অফিস সহকারীর সাথে প্রথমে কথা হয়। তিনি জানান নামজারি করতে হলে আগে নায়েব ম্যাডামের সাথে কথা বলেন। তিনিইতো নামজারি করে দেবেন। এরপর নায়েব ম্যাডামের সাথে কথা বললে তিনি জানান নামজারি করা যাবে। তবে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে’। ওই ভুক্তভোগী আরো জানান, “তারপর আমি খরচ কম নেওয়ার অনুরোধ করলে নায়েব আপা জানায়, ‘খরচ কম দিলে হয় না। লাখ লাখ টাকা খরচ করে জমি কিনতে পারেন, মাত্র পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে নামজারি করতে কষ্ট হয়। এটাই আপনাদের সমস্যা। টাকা খরচ করা লাগবে না। ওই অবস্থায় থাকুক, খাস খতিয়ানে চলে গেলে তখন বুঝতে পারবেন’। এমন কথা শোনার পর তিনি সেই পাঁচ হাজার টাকাতেই নামজারি করতে রাজি হই। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ভুক্তভোগীকে পাঁচ হাজার টাকা লেনদেনের বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করা হয়। বলা হয় কাউকে জানালে নামজারি আটকে যাবে। পরে অনেক ঝামেলা হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে নগরঘাটা ভূমি অফিসের নায়েব সুরাইয়া পারভীন বলেন,আমি হাতে করে কোনো টাকা নেই না এবিষয়ে ছোট নায়েব এর সাথে কথা বলেন।
No comments