ads

শিরোনাম :

তালাক দেওয়ায় স্বামীর বাড়ির ইট খুলে নিয়ে গেলো তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী!

 



তালাক দেওয়ায় স্বামীর বাড়ির ইট খুলে নিয়ে গেলো তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী!

গোলাম সাহারিয়া : সংসারে অশান্তির কারণে আইন মেনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন সাতক্ষীরা পৌর এলাকার বাটকেখালী গ্রামের মো. আঃ খালেকের ছেলে আলী হোসেন। তালাক দেওয়ার খবর শুনে স্বামীর বাড়ি থেকে সকল আসবাবপত্র, ঘরের চাল, জানালা-দরজাসহ খুলে নিয়ে গেছেন ইট পর্যন্ত। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী আলী হোসেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘২৭ বছর আগে আলী হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দেবহাটার সুশীলগাতি এলাকার সাধু মিস্ত্রির মেয়ে সালমা খাতুনের সাথে। বর্তমানে ওই দম্পতি ৩ কন্যা সন্তানের জনক ও জননী। বড় ও মেঝো মেয়ে তাদের স্বামীর সংসারে থাকে। ১৪ বছর বয়সী ছোট মেয়েকে নিয়ে সুখেই সংসার চলছিলো তাদের। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত ছোট মেয়ের জন্মের পর থেকেই শুরু হয়।’ আলী হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘ছোট মেয়ের জন্মের পর থেকেই দিন দিন স্ত্রী সালমা খাতুন বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। এমনকি দীর্ঘস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনার কথা বলে স্থানীয় ডাক্তারের যোগসাজশে আলী হোসেনের পুরুষত্ব নষ্ট করে দেয় সালমা খাতুন। এছাড়া সালমা খাতুন বিভিন্ন পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি এসব পারিবারিক অশান্তির কথা উল্লেখ করে গত ০৪-০৫-২০২৫ ইং তারিখে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক প্রদান ও দেনমোহরের টাকাসহ ডাকযোগে সালমা খাতুনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। তালাকের কাগজ ও টাকা হাতে পাওয়ার পর স্বামীর বাড়ির সকল আসবাবপত্র, ঘরের চাল, জানালা-দরজাসহ ইট খুলে নিয়ে গেছেন ওই নারী।’ এ ব্যাপারে সালমা খাতুন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার স্বামী আলী হোসেন দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকেন না। নিজের মেয়েদের খোঁজখবর রাখেন না। অন্যের বাড়িতে কাজ করে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর তিনি নিজেই সংসার চালিয়ে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়েটা বর্তমানে ৭ম শ্রেণিতে পড়ছেন। একজন স্বামী ও বাবা হিসেবে আলী হোসেন তাদের জন্য কিছুই করেননি। উল্টে এতবছর সংসার করার পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাকে তালাক দিয়েছে।’ তিনি আরো জানান, ‘বাড়ির সকল আসবাবপত্র তার বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছেন। ঘরের প্রতিটি ইটও তার বাপের বাড়ির। এখানে আলী হোসেনে বিন্দুমাত্র অবদান নেই। এজন্য আমার জিনিস আমি নিয়ে যাচ্ছি।’

No comments