সাতক্ষীরায় জমি-জায়গা সক্রান্ত মামলার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ওমর ফারুক বিপ্লব : সাতক্ষীরায় জমি জায়গা সক্রান্ত মামলার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মোঃ মতিয়ার রহমান সংবাদ সম্মেলন করেছেন।সোমবার (১৩অক্টোবর) সকালে সার্কিট হাউজ মোড়ে সাতক্ষীরা রিপোর্টাস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর তৎকালীন সরকারের দোসরদের দ্বারা এখনো অবিচারের সম্মুখীন। আমার আপন বড় ভাই জনাব আতিয়ার রহমান সাং পুরাতন সাতক্ষীরা, সে দক্ষিণ ঘোষপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে তারপর সাতক্ষীরা পি,এন হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। অভাবের কারণে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। ঢাকায় থেকে আতিয়ার সাংবাদিকতা করার জন্য একটি কার্ড করে । এই কার্ডকে ব্যবহার করে এমন কোন অপকর্ম নাই যে আতিয়ার করে নাই। আমাদের জায়গা জমি ভূমিদস্যু ইমান আলী, আনিসুর ও ফেন্সি ভুয়া নাদাবি সৃষ্টি করে নাম পত্তন, আমার পিতার নাম বাদ দিয়ে অন্যের নামে করে নিয়ে সুলতানপুরের পারভেজ এর কাছে বিক্রয় করে। যার মাধ্যম ছিল ০২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার জনাব ওসমান গনি মিন্টু, আমার এলাকার আব্দুল হক (অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক) কে দিয়ে আতিয়ারকে মিন্টুর কাছে নিয়ে যেয়ে ১০ হাজার ইট এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে যে তাদেরকে ওই জমি দখলে সহযোগিতা করবে। আমরা ছোট তিন ভাই এই কার্যকলাপের প্রতিবাদ করি এবং রেকর্ড সংশোধনের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে ৩০ ও ৩১ ধারা এবং ভূমি অফিসে নামপত্তন পরিবর্তনের জন্য মামলা করি। পরিশেষে আমরা পিতার নামে রেকর্ড করিতে সামর্থ্য হই।
৩ নং ওয়ার্ড কমিশনার শেখ সেলিম পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন এস, আই সেলিম রেজা কে বলে আমার ও আমার ছোট ভাই হবিবর, মসিবর কে ফোর্স দিয়ে পুরাতন সাতক্ষীরার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে এসে আমাকে পিছন দিক দিয়ে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে, পায়ে দড়ি বেঁধে এবং বুকের ওপর চেয়ার বসিয়ে এসআই সেলিম রেজা ও চার পাঁচজন পুলিশ এবং আতিয়ার মিলে আমাকে পায়ের তলায়, পায়ে ও বুকে পিঠে লাঠি দিয়ে মারে। আমার ছোট দুইভাই মসিবর ও হবিবর কেও আমার সাথে প্রচুর মারধর করে। আমাদের ফাঁড়ি থেকে ছাড়ানোর জন্য ০৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার শেখ সেলিমের নিকট সাক্ষী সবুর ও রকিব গেলে কমিশনার শেখ সেলিম বলে তাদের ছাড়াতে গেলে ৫ লক্ষ টাকা লাগবে। তখন আমরা মতিয়ারের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে শেখ সেলিমকে দিলে সে টাকা নিয়ে ফাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। ঘটনার একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাড়াতাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ইঞ্জিনভ্যান যোগে শহরের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। তারপর আমাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। আমার ছোট ভাই মসিবরকে থানায় আটক করে রাখে ও আমাদেরকে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে চলে আসে। আমার পায়ের ও শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে আসি। পরবর্তীতে ঢাকা ও ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণ করি।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর উক্ত ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল করে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার সি, আর, মামলা নম্বর ৯৩১/২৪ উক্ত মামলা করার পর হতে আমার সাথে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের থেকেও বড় অবিচার হয়ে চলেছে। আতিয়ার আমার বিরুদ্ধে আদালতে একটি কাল্পনিক ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নম্বর সি, আর, ১২৬২/২৪। আতিয়ার কর্তৃক আদালতে সি, আর, ১২৬২/২৪ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন মামলাটি চ্যালেঞ্জ করে আমার মামলার সাক্ষীরা তদন্তকারী কর্মকর্তা বরাবর সরেজমিনে তদন্ত করার আবেদন করে। এর একটি কপি ও মামলার কাগজপত্র ডিআইজি খুলনা, আইজি ঢাকা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করি। এরই প্রেক্ষিতে ডিআইজি খুলনা, উপজেলা সার্কেল এসপি তালা সাতক্ষীরা এর উপর তদন্তভার অর্পণ করেন। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় এস আই সেলিম রেজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজ্জু হয়। সার্কেল অফিসের তদন্তকালে এসআই সেলিম রেজা বলে ওসির নির্দেশে তাদেরকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসি।পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজিজার যে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে তাহা আমার এলাকাযর জনগণের কাছে জিজ্ঞাসা করলে পাওয়া যাবে। আমার পঙ্গুত্বের বিষয়টি এলাকাবাসী সবাই দেখেছিল এবং এখনো সবাই জানে। শুধুমাত্র শেখ সেলিম, এসআই সেলিম টাকার জোরে আতিয়ার কর্তৃক সি, আর, ১২৬২/২৪ মামলাটি তদন্ত করে পিবি, আই অফিসার এস, আই মিরাজ। উক্ত এস, আই মিরাজ আমার মামলা ৯৩১/২৪ মামলারও তদন্তকারী কর্মকর্তা। এস, আই মিরাজ হঠাৎ একদিন ফোন দিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আসতে বলে। যথারীতি হাজির হই ।আমার সি,আর, ৯৩১/২৪ ও আতিয়ারের সি, আর, ১২৬২/২৪ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও এস, আই মিরাজ (পিবিআই) ফ্যাসিস্ট সরকার এর দোসরদের বাঁচানোর জন্য কাল্পনিক মনগড়া রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিলে উক্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটির তদন্ত দেয় সার্কেল এসপি সদর সাতক্ষীরা কে।
উক্ত মামলার সঠিক তদন্তে করে বিচারের দাবি ও প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী।
No comments