ads

শিরোনাম :

নলছিটিতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।

 


নলছিটিতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ। 


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের পাওতা গ্রামে  যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী রুবেল ওরফে আনিছুর হাং (৫৪ ) ও স্বামীর বোন মিলি বেগমের (৫৬) এর বিরুদ্ধে। 


গত-২০/০৮/২০১৩ তারিখ পারিবারিকভাবে রুবেলের এর বোন মোসাঃ মিলি বেগম এর মাধ্যমে মোজাম্মেল হাং এর পুত্র প্রবাসী রুবেলের সাথে, মোল্লারহাট ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের ফজলে আলী হাং এর কন্যা  মোসাঃ তানিয়া বেগম এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। 


বিবাহের সময় তানিয়ার পিতা এবং ভাইয়েরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচা করিয়া, স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দিয়া রুবেলের গৃহে তুলিয়া দেয়। কিছুদিন সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিলে তানিয়ার গর্ভে ২টি সন্তান জন্মের পরপরই মারা যায়। তৃতীয় সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় রুবেল সৌদি আরব যাইবে বলিয়া, তানিয়ার বড় ভাই সুমনের কাছে থেকে ধার বাবদ ২ লক্ষ টাকা নেয়। রুবেল বিদেশে কিছুদিন থাকে, এরপর দেশে আসার পর রুবেলের বোনের কুপ্ররোচনায় রুবেল দেশে ব্যবসা ও বাড়ি নির্মাণ করার জন্য তানিয়ার, পিতা ও ভাইয়ের নিকট হইতে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আনিয়া দিতে বলে তানিয়াকে । এমন অবস্থায় রুবেলের ছোট ভাই রাসেল ও রুবেলের বোন মিলিকে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করিলে, গত -০৩/০৯/২০২৪ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বিকেল ৪:০০ ঘটিকার সময় রুবেল ও মিলি, তানিয়াকে বিবাহ কালীন পিতার বাড়ি হইতে দেওয়া, স্বর্ণ অলংকার  রাখিয়া দিয়া, তানিয়াকে এক কাপড়ে তাদের ঘর হইতে শিশু সন্তান সহ বাহির করিয়ে দিলে নিরুপায় হইয়া শিশু সন্তান সহ বড় ভাই সুমন হাওলাদারের বাসায় চলিয়া আসে এবং রুবেলের যৌতুক দাবীর বিষয়ে বাবা ভাই ও আত্মীয় স্বজনদের জানাইলে, তাহারা রুবেলের  বোনের সহিত আপস মীমাংসার জন্য যোগাযোগ করিলে, রুবেল এবং রুবেলের বোনের সাথে মীমাংসার জন্য সালিশির দিন ধার্য করা হয়। 


অতঃপর গত ইং ৪/০৯/২০২৪ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় স্ত্রী তানিয়ার  বড় ভাইয়ের বসত গৃহের সামনের বারান্দায় রুবেল হাং ও তাহার বোনের সহিত এক শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শালিশ বৈঠকে শালিশগন উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবন করিয়া এইমর্মে সিদ্ধান্ত দেন যে, যৌতুকের দাবী পরিহার করিয়া তানিয়া বেগমকে রুবেল হাং ওরফে মোঃ আনিছুর রহমান এর স্ত্রীর মর্যাদায় তাহার গৃহে নেওয়ার জন্য বলিলে উপস্থিত  শালিশ সাক্ষীদের সম্মুখে প্রকাশ করে যে, তাহার দাবীকৃত যৌতুকের ৫,০০,০০০/- (পাচ লক্ষ) টাকা না দিলে তানিয়াকে, রুবেলের  স্ত্রীর মর্যাদায় নিবে না, সাথে সাথে তাহার বোনও প্রকাশ করে যে, তাহাদের দাবীকৃত ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক না দিলে তানিয়া বেগম কে তাহাদের গৃহে কোনদিন জায়গা দিবে না। মোঃ রুবেল হাং ওরফে মোঃ আনিছুর রহমান ( ৫৪) মোটা অংকের যৌতুক নিয়া অন্যত্র বিবাহ করিবে বলিয়া তানিয়াকে তালাকের হুমকি দেয়।

অতঃপর তানিয়া কোন উপায়ন্তর না পেয়ে মোকাম বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় সি.আর ১৮৯৮/২০২৪ (কোতয়ালী) নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে।


এই মামলায় হাজির না হইয়া প্রবাসী রুবেল ওরুফে আনিছুর বিদেশ পালিয়ে  যান, বিদেশ যে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস অতিবাহিত করে, অতঃপর বিদেশ থেকে দেশে চলে আসেন,  একপর্যায়ে রুবেলের নামে মামলার হাজিরা না দেওয়ার কারণে মামলার ওয়ারেন্ট বের হয়, তখন রুবেল জানতে পারে , একপর্যায় রুবেল বিভিন্ন জায়গা পালিয়ে বেড়ায়,হঠাৎ একদিন তানিয়ার ভাই রুহুল-আমিন জানতে পারে তার বোনাই রুবেল হাং নিজ বাসায় আছেন,তৎক্ষণাৎ নলছিটি থানার এ এস আই সুমন, এস আই অরুণ, এসআই হেমায়েত, সহ পাঁচ সাত জন পুলিশ এর টিম, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি রুবেলকে ধরতে যায়,  মামলার বাদী তানিয়া বেগমের ছোট ভাই রুহুল আমিন বাড়ি ও আসামিকে চিনিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সাথে যায়। ওই টিমে থাকা অন্য এক পুলিশ সদস্য ভুলবশত মামলার বাদীর ছোট ভাই রুহুল আমিন কে, রাতের বেলা অন্ধকারে চিনতে না পেরে, মামলার আসামি রুবেল হাং ভেবে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়, আলোতে আনার পর যখন চিনতে পারে এই ব্যক্তি মামলার বাদী তানিয়ার ভাই রুহুল আমিন, তিনি  রুবেল নন তখন রুহুল আমিনকে পুলিশ ছেড়ে দেন। এই সুযোগে রুবেলের ভাই, রাসেল মোবাইলে একটি ভিডিও ধারণ করে, পরবর্তীতে ওই ভিডিও নিয়ে মোকাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নলছিটি আমলী আদালত ঝালকাঠি  যাহার মামলা নং ১৯৭ একটি মিথ্যা ডাকাতির মামলা দায়ের করে। 


ভুক্তভোগীর রুহুল আমিনের দাবি তার  বোনের প্রতি অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে  সুস্থ তদন্ত করে তার প্রতি হয়রানি মূলক মামলার বিচার চান।

No comments