সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগে গোপনিয় ক্যাশ কাউন্টার : সুব্রতর খুঁটির জোর কোথায়
ওমর ফারুক বিপ্লব : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ সুব্রতর বিরুদ্ধে নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার খুলে সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে গোপনিয় ক্যাশ কাউন্টারের টাকা গোপনে পকেটস্থ করা হচ্ছে।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর গোপনিয় ভাবে এমনটি করছে। এতে করে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ৩১৫ নাম্বার রুমে গোপনিয় ভাবে ক্যাশ কাউন্টার খুলে বসেছেন প্যাথলজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট সুব্রত। প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ সুব্রতর নির্দেশে প্রকাশ্যে এই অনিয়ম করা হচ্ছে। সেখানে তাদের নিজস্ব প্যাড তৈরি করে রশিদ দিয়ে টাকা নিচ্ছে প্যাথলজী বিভাগের পরীক্ষার টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে না। আত্মসাৎ করা টাকা পৌঁছে যাচ্ছে প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ সুব্রতর পকেটে।
গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রত দীর্ঘদিন চাকুরী করছে কিছু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে, আরো জানা যায় প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ সুব্রত মাদকাসক্ত। সুব্রত মাদক সেবন করে রুগী ও রুগীর আতœীয় স্বজনদের সাথে খারাপ আচারণ করেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে প্যাথলজী বিভাগের ইনর্চাজ সুব্রতর বিরুদ্ধে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি কিভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মতো জায়গায় প্যাথলজী বিভাগে ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।
হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্যাথলজী সুব্রতর অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে কয়েক বার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাতে কি সুব্রতর কিছুই করতে পারি নাই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালিন দাপটের সাথে এই অনিয়ম করে আাসছে এই সুব্রত। কেউ কিছু বলার সাহস পাই নাই কারণ আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদীন চাকরি করে আসছে। আরো জানান, সুব্রত ঠিকমতো ডিউটি করেন না বেশির ভাগ সময় তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাইরে থাকে। এছাড়া প্যাথলজী সুব্রতর বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে চাকুরী দেওয়ার নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী দিতে না পারায় থানা পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ সুব্রত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে টাকা নেচ্ছে না নেচ্ছে আমি কি দেখে বেড়াবো নাকি? আমি প্যাথলজী বিভাগের ইনচার্জ হয়েছি বলে কি সব দায়িক্ত কি আমার। ক্যাশ কাউন্টার থাকতে ও আপনি নিজস্ব ক্যাশ কাউন্টার বসায়ছেন কেনো এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ওটা ব্লাড ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার ওখানে টাকা নিচ্ছে কি সেটা আমি জানি না।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ কুদরত-ই-খুদার কাছে এই বিষয়ে মুঠফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
No comments